রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম চেঁচরী গ্রামের আলআমিন মোল্লা নামের এক যুবককে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন উপজেলার রামপুর গ্রামের হাদিস হাওলাদার নামের এক প্রত্যারক।
সৌদি আরবে ভাল কাজ দেওয়ার কথা বলে আলআমিন মোল্লার কাছ থেকে ননজুডিসিয়াল স্টাম্পে সাক্ষর করে ৪ লক্ষ টাকা নেয় হাদিস হাওলাদার। হাদিসের কথা মতো পাসপোর্ট, পুলিশ ভ্যারিফিকেশন, প্রশিক্ষন সনদ ও মেডিকেল সনদসহ সকল ধরনের কাজ সংগ্রহ করে হাদিসের নিকট জমা দেন আল আমিন।
১৫ দিনের মধ্যে ভিসা দেওয়ার কথা বলে কাগজপত্র ও টাকা নিয়ে গত দের মাস পুর্বে ঢাকায় যায় হাদিস। এরপর থেকে হাদিসের ব্যবহৃত মুঠো ফোনটি বন্ধ রয়েছে। বিভিন্নভাবে যোগাযোগে করেও হাদিসের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
আলআমিন মোল্লা জানান, আমি চট্রগ্রামে একটি পোষাক কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকুরি করতাম। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে চেষ্টা করি। স্থানীয় রামপুর গ্রামের মো.হারুন হাওলাদারের ছেলে হাদিসের সাথে কথা হয়। সে আমাকে সৌদি আরবে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এতে আমি রাজি হই। এবং পোষাক কারখানার চাকুরি ছেড়ে দেই। বাড়ীতে এসে সৌদি যাবার সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করি। সমস্ত কাগজপত্র এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা হাদিসের কাছে দেই। টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে হাদিস ঢাকায় যায়। এরপর থেকে হাদিসের আর কোন খোঁজ নেই। চাকুরি ও টাকা দুটোই গেলো। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা। হাদিসের মোবাইল ফোন নম্বরটি (০১৭৫৩৬৫৫৫০৩) বন্দ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।